উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় জয়পুরহাটের শিক্ষককে শোকজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৬ Time View

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. মাহবুবর রহমান (Md Mahbubor Rahman) নামক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে তা লাইভ করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করায় জয়পুরহাটে একজন শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

অভিযুক্ত শিক্ষক মু. মাহবুবর রহমান জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে কর্মরত।

গত সোমবার জয়পুরহাটের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ওই শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠায়। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. মাহবুবর রহমান (Md Mahbubor Rahman) নামক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে তা লাইভ করেন। এ ধরনের পোস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হওয়ায় বিষয়টি ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ এর ৭(ঘ) এবং ১০ (৫) (ছ) পরিমার্জিত সংস্করণ এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ এর পরিপন্থি।’

এমন পরিস্থিতিতে, কেনো আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব চিঠি পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যথায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে জানান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইন এখনো রয়ে গেছে। জালেম নেই কিন্তু জালেমের জুলুম রয়েই গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা ছাড়া স্বচ্ছতা সম্ভব নয়।

তিনি আরো জানান, এর আগেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে এবং ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকার পোস্ট করায় আমার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ জুন বিভাগীয় মামলা করা হয়। ৫ আগস্টের পরেও নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি না। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চ. দা.) মমিনুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে (শিক্ষক) শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের পোস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাদেবপুরে নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা

উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় জয়পুরহাটের শিক্ষককে শোকজ

Update Time : ০৯:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ মাফিজুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. মাহবুবর রহমান (Md Mahbubor Rahman) নামক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে তা লাইভ করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করায় জয়পুরহাটে একজন শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

অভিযুক্ত শিক্ষক মু. মাহবুবর রহমান জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে কর্মরত।

গত সোমবার জয়পুরহাটের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ওই শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠায়। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. মাহবুবর রহমান (Md Mahbubor Rahman) নামক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে তা লাইভ করেন। এ ধরনের পোস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হওয়ায় বিষয়টি ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ এর ৭(ঘ) এবং ১০ (৫) (ছ) পরিমার্জিত সংস্করণ এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ এর পরিপন্থি।’

এমন পরিস্থিতিতে, কেনো আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব চিঠি পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যথায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে জানান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইন এখনো রয়ে গেছে। জালেম নেই কিন্তু জালেমের জুলুম রয়েই গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা ছাড়া স্বচ্ছতা সম্ভব নয়।

তিনি আরো জানান, এর আগেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে এবং ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকার পোস্ট করায় আমার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ জুন বিভাগীয় মামলা করা হয়। ৫ আগস্টের পরেও নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি না। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চ. দা.) মমিনুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে (শিক্ষক) শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের পোস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।