
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ-
খুলনা ডুমুরিয়ার আধারমানিক এলাকার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজ করতে রাজি না হওয়ায় অনিতা রায় (৩৮) নামে এক নারীকে প্রাননাশের হুমকি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে খুলনার খালিশপুর বিশ্বাসবাড়ি এলাকার কথিত আওয়ামী লীগ নেত্রী বুলু রানী মন্ডল ও নিলুফার বিরুদ্ধে।
খালিশপুর থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে আনিতা রায় বের হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে খুলনার খালিশপুর বিশ্বাসবাড়ি এলাকার আনন্দ মন্ডলের মেয়ে বুলু রানী মন্ডল (৪০) ও মোঃ মোক্তার হোসেনের স্ত্রী নিলুফা (৫২)। বুলু রানী মন্ডল অনিতা রায়ের পূর্ব পরিচিত। অনিতা রায়ের যে কোন সমস্যায় বুলু রানী মন্ডল আর্থিক সাপোর্ট দিতেন। এক পর্যায়ে বুলু রানী মন্ডল তার পছন্দের বিভিন্ন পর-পুরুষের সাথে অনিতাকে টাকার বিনীময়ে অনৈতিক কাজ করার কু-প্রস্তাব দেয়। এমন কু-প্রস্তাবে অনিতা রাজী না হওয়ায় হ্মিপ্ত হয়। তারই জের ধরে রাগে ওৎ পেতে থাকে তারা, পরে একা পেয়ে সুযোগে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে ইজিবাইকে তুলে এলোপাথারী মারতে মারতে নুরনগরে বুলু রানী মন্ডলের বাড়ির সামনে নিয়ে আসে অনিতাকে। প্রান ভয়ে ইজিবাইক থেকে অনিতা নামতে না চাইলে বুলু রানী মন্ডল ও নিলুফা তাকে পুনরায় টেনে হিচড়ে ইজিবাইকের বাহিরে নিয়ে এসে পুনরায় কিল, লাথি, ঘুশি মেরে মারাত্মক নীলা, ফোলা, চাপা জখম করে। মারধরের এক পর্যায়ে বুলু রানী মন্ডল অনিতার গলায় থাকা ০১ (এক) ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনটি ছিড়ে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক বাজার মূল্য ১,৩৭,০০০/- (এক লক্ষ সাইত্রিশ হাজার) টাকা। নিলুফা ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতরে থাকা আনুমানিক ১১,০০০/- (এগার হাজার) টাকা সহ ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময়ে আত্মত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে পরে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ও ভ্যানিটি ব্যাগ ফিরিয়ে দেয় স্থানীয়রা।
এমন ঘটনায় অনিতার বড় ধরনের হ্মতি ও প্রাননাশের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাসহ ন্যায় বিচারের দাবিতে খালিশপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অনিতা রায় জানান, আমি দীর্ঘদিন বুলুরানি মন্ডলের কাছে আমার পারিবারিক ঝামেলার জন্য গিয়েছি। সে আমাকে সব সময় বলেছেন আমি আওয়ামী লীগের লোক কোনো চিন্তা করো না আমি ঝামেলা মিটিয়ে দিবো।
এ ব্যাপারে বুলু রানী মন্ডলের মোবাইল ফোনে ফোন দিলে,তিনি ফোন রিসিব করেননি।
এ বিষয়ে খুলনা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনি প্রকৃয়া চলমান রয়েছে।