চরফ্যাসনে অপহৃত পর্যটক উদ্ধার, ২ অপহরনকারী গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩৮ Time View

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি॥

ভোলার চরফ্যাসনে অপহরণের ৩দিন পর অপহৃত পর্যটন মো, রাশেদ(১৮)কে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছেন চরফ্যাসন থানা পুুলিশ। গত শনিবার রাতে চরফ্যাসন সদর রোডের হোটেল বকসির ৪০১ নং কক্ষ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারী মিরাজ (৩০) ও জুয়েল (৩০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার সাকিনের ওহাব আলীর ছেলে রাশেদ ঢাকা মীরপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড ট্যাকনোলজী’র ছাত্র। মেয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করা এবং চরফ্যাসনের পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখতে গত ১৩ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে চরফ্যাসন আসেন। এখানে এসেই ফ্যাসন স্কয়ার থেকে তিনি অপহৃত হন । দুপুরের আগেই ইভান, মিরাজ বকসী এবং জুয়েলসহ অজ্ঞাত ২/৩ যুবক ফ্যাসন স্কয়ার থেকে রাশেদকে তুলে সদর রোডের গ্রীণ প্যালেস হোটেলের ২০৯ নং কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা রাশেদকে গ্রীণ প্যালেস থেকে সরিয়ে হোটেল বকসীর ৪০১ নং কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবং অপহৃত রাশেদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
অপহরণের সংবাদ পেয়ে রাশেদের চাচাতো ভাই রাসেল(গত ১৫ মার্চ সকালে টাঙ্গাইল থেকে চরফ্যাসন আসেন এবং চরফ্যাসন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭ তাং ১৫,০৩,২০২৫।
মামলা দায়েরের পর সহকারী পুলিশ সুপর (চরফ্যাসন সার্কেল) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হোটেল বকসীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত যুবক মো. রাশেদকে উদ্ধার করেন। অপহৃত যুবক মো. রাশেদের ও হোটেল কর্মচারীদের ভাষ্য মতে অপহরনে জড়িত মিরাজ ও জুয়েলকে অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিরাজ কুলসুমবাগ সাকিনের আবুল কাশেমের ছেলে এবং জুয়েল হাজারীগঞ্জের ০৭নং ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণকারী চক্রের অপরসদস্য ইভানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে চরফ্যাসন থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহামান হাওলাদার জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁর পত্নীতলায় ভুয়া ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে 4 সাংবাদিক আটক

চরফ্যাসনে অপহৃত পর্যটক উদ্ধার, ২ অপহরনকারী গ্রেপ্তার

Update Time : ০৩:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি॥

ভোলার চরফ্যাসনে অপহরণের ৩দিন পর অপহৃত পর্যটন মো, রাশেদ(১৮)কে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছেন চরফ্যাসন থানা পুুলিশ। গত শনিবার রাতে চরফ্যাসন সদর রোডের হোটেল বকসির ৪০১ নং কক্ষ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারী মিরাজ (৩০) ও জুয়েল (৩০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার সাকিনের ওহাব আলীর ছেলে রাশেদ ঢাকা মীরপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড ট্যাকনোলজী’র ছাত্র। মেয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করা এবং চরফ্যাসনের পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখতে গত ১৩ মার্চ সকালে ঢাকা থেকে চরফ্যাসন আসেন। এখানে এসেই ফ্যাসন স্কয়ার থেকে তিনি অপহৃত হন । দুপুরের আগেই ইভান, মিরাজ বকসী এবং জুয়েলসহ অজ্ঞাত ২/৩ যুবক ফ্যাসন স্কয়ার থেকে রাশেদকে তুলে সদর রোডের গ্রীণ প্যালেস হোটেলের ২০৯ নং কক্ষে নিয়ে আটক রাখে। ওই দিন বিকেলে অপহরণকারীরা রাশেদকে গ্রীণ প্যালেস থেকে সরিয়ে হোটেল বকসীর ৪০১ নং কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবং অপহৃত রাশেদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
অপহরণের সংবাদ পেয়ে রাশেদের চাচাতো ভাই রাসেল(গত ১৫ মার্চ সকালে টাঙ্গাইল থেকে চরফ্যাসন আসেন এবং চরফ্যাসন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭ তাং ১৫,০৩,২০২৫।
মামলা দায়েরের পর সহকারী পুলিশ সুপর (চরফ্যাসন সার্কেল) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হোটেল বকসীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত যুবক মো. রাশেদকে উদ্ধার করেন। অপহৃত যুবক মো. রাশেদের ও হোটেল কর্মচারীদের ভাষ্য মতে অপহরনে জড়িত মিরাজ ও জুয়েলকে অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিরাজ কুলসুমবাগ সাকিনের আবুল কাশেমের ছেলে এবং জুয়েল হাজারীগঞ্জের ০৭নং ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণকারী চক্রের অপরসদস্য ইভানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে চরফ্যাসন থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহামান হাওলাদার জানিয়েছেন।