বাগেরহাট প্রতিনিধি ।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সন্ত্রাসীরা প্রকৃত জমির মালিককে বিতাড়িত করে চার শতাধিক চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। “জমি যার ঘের তার” এই প্রবাদ রামপালে শুধু কাগজে কলমে। এমনকি “ডেবিট হান্ট” অভিযানে ক্ষোদ রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও এসপি সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারের বিরুদ্ধেশয়তানের সাথে সখ্যতা ও বিশেষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি থানার কালেকশন ম্য্না এসআই জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে মাসে শত কোটি টাকা নাকি থানায় আয় হয় বলে জনশ্রæতি আছে। এ সকল অভিযোগে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে ভোজপাতিয়া এলাকার মো. আল আমিন শরীফ লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত প্রায় অর্ধশত জমির মালিক রামপাল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা ও সার্কেল এসপির বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ উত্থাপন করেন। ভুক্তভোগীরা জানান গত ১ মাসে রাসেল শরীফের ৬ বিঘা, ফেরদাউস শরীফের ট্রলার ও মাছের পোনা, কবির হাওলাদালের ১১ বিঘা চিংড়ি ঘের, লোকমানের ১৩ বিঘা ঘের, নজরুল শরীপের ২ বিঘা ঘের, মাসুদ মাঝির ৯ বিঘা, রাকিব গাজীর ১৭ বিঘা, ডাকরার আল আমিনের ৪০ বিঘা, শামীম তালুকদারে ৬০ বিঘা ও ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুট, আলমগীর মাঝির ২ লক্ষ টাকা, জুয়েল মাঝির ৮ বিঘা, রুহুল তালুকদারের ৪ বিঘা, ডাকুয়া বাড়ীর ১৫ বিঘা, মাঝি বাড়ির ৪০ বিঘা চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছে বিএনপির ফরিদ গ্রুপের নামে চলা মো মাইনুল ইসলাম হীরক। এই হীরকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিকবার মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেইনি। এমনকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সার্কেল এসপি তাদের সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে চলাফেরা করে। মাসিক মাশোয়ারা নেই এমন অভিযোগ করেছেন।
এ সকল বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সার্কেল এসপি মুশফিকুর রহমান তুষার ও অভিযুক্ত মো. মাইনূল ইসলাম হীরক তাদের বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ##
বাগেরহাট প্রতিনিধি তাং -০৫-০৩-২০২৫