লালমোহনে গভীর রাতে দোকনের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ২ Time View

মোঃ এমরান হাসান আলীম

লালমোহন,প্রতিনিধি

ভোলার লালমোহনে দোকানের গুদামে রাখা মালামালসহ গুদাম ঘরটি লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড হাজির হাট তালপাতা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী হাজী মোস্তাফা মিজি ট্রেডার্স এর মালিক মো. শরিফ মিঝি অভিযোগ করে জানান, গত শুক্রবার ১৪ মার্চ রাত ১২ টার সময় এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সেলিম এর নেতৃত্বে রিয়াজ, মনির, সুমন, ছালাউদ্দিন, রাসেল, শরিফ, হারুন, আনছার, আলাউদ্দিন, হাসান, মাছুমা, কহিনুর, জুলফা, আকলিমা, কবিরসহ এলাকার ও বহিরাগত প্রায় অর্ধশত বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গুদাম লুট করে এবং গুদামঘরটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। গুদামে মালামালের মধ্যে ছিলো রড ১৫ টন, সিমেন্ট ৯শ বস্তা, হার্ডওয়ার ও সেনেটারীর বিভিন্ন মালামাল।
লুটপাটের ঘটনা শুনে বাজারে আসি।এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারার জন্য এদিক সেদিক খোঁজা খুঁজি করছে। পরে আমি তাৎক্ষনিক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে রাত ২টার দিকে লালমোহন থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি পরিদর্শন করে চলে যায়।তবে পুলিশ আসার আগেই সেলিম গংরা তাদের তান্ডব শেষ হয় এবং তারা স্থান ত্যাগ করে।
পরে আমি শনিবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। থানার ওসি স্টেশনে না থাকায় থানায় মামলা নেয়নি। তবে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এঘটনায় আমি আপনাদের মাধ্যমে ন্যায় বিচারেরন দাবী করছি।
শরিফ মিঝির পিতা মো. মোস্তফা জানান, আর এস ৫০৬, এসএ ১০০১ খনিয়ানের জমি থেকে ৯৩ শতাংশ জমি ৫টি দলিলে ক্রয় করে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর্য়ন্ত ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের পরে তারা একই খতিয়ানের জমি ক্রয় করে দাতার অন্য যায়গা রেখে আমাদের জমি বাজারের ভিটা জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হঠাৎ শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে তারা আমাদের দোকানের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এসব জোর জুলুমের উপযুক্ত বিচার চাচ্ছি।
দোকান গুদাম ও মালামাল লুটের ব্যপারে সেলিমের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়ানি এবং তিনি মোবাইল ব্যবহার না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী মাছুমা বেগম বলেন আমারা তাদের দোকানঘর সরিয়ে নেয়নি। তারা নিজেদের ঘর নিজেরা রাতে সরিয়ে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি স্টেশনে না থাকায় বিষয়টি জানা নেই,তবে ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁর পত্নীতলায় ভুয়া ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে 4 সাংবাদিক আটক

লালমোহনে গভীর রাতে দোকনের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ

Update Time : ০৩:৫৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

মোঃ এমরান হাসান আলীম

লালমোহন,প্রতিনিধি

ভোলার লালমোহনে দোকানের গুদামে রাখা মালামালসহ গুদাম ঘরটি লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড হাজির হাট তালপাতা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী হাজী মোস্তাফা মিজি ট্রেডার্স এর মালিক মো. শরিফ মিঝি অভিযোগ করে জানান, গত শুক্রবার ১৪ মার্চ রাত ১২ টার সময় এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সেলিম এর নেতৃত্বে রিয়াজ, মনির, সুমন, ছালাউদ্দিন, রাসেল, শরিফ, হারুন, আনছার, আলাউদ্দিন, হাসান, মাছুমা, কহিনুর, জুলফা, আকলিমা, কবিরসহ এলাকার ও বহিরাগত প্রায় অর্ধশত বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গুদাম লুট করে এবং গুদামঘরটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। গুদামে মালামালের মধ্যে ছিলো রড ১৫ টন, সিমেন্ট ৯শ বস্তা, হার্ডওয়ার ও সেনেটারীর বিভিন্ন মালামাল।
লুটপাটের ঘটনা শুনে বাজারে আসি।এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারার জন্য এদিক সেদিক খোঁজা খুঁজি করছে। পরে আমি তাৎক্ষনিক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে রাত ২টার দিকে লালমোহন থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি পরিদর্শন করে চলে যায়।তবে পুলিশ আসার আগেই সেলিম গংরা তাদের তান্ডব শেষ হয় এবং তারা স্থান ত্যাগ করে।
পরে আমি শনিবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। থানার ওসি স্টেশনে না থাকায় থানায় মামলা নেয়নি। তবে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এঘটনায় আমি আপনাদের মাধ্যমে ন্যায় বিচারেরন দাবী করছি।
শরিফ মিঝির পিতা মো. মোস্তফা জানান, আর এস ৫০৬, এসএ ১০০১ খনিয়ানের জমি থেকে ৯৩ শতাংশ জমি ৫টি দলিলে ক্রয় করে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর্য়ন্ত ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের পরে তারা একই খতিয়ানের জমি ক্রয় করে দাতার অন্য যায়গা রেখে আমাদের জমি বাজারের ভিটা জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হঠাৎ শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে তারা আমাদের দোকানের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এসব জোর জুলুমের উপযুক্ত বিচার চাচ্ছি।
দোকান গুদাম ও মালামাল লুটের ব্যপারে সেলিমের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়ানি এবং তিনি মোবাইল ব্যবহার না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী মাছুমা বেগম বলেন আমারা তাদের দোকানঘর সরিয়ে নেয়নি। তারা নিজেদের ঘর নিজেরা রাতে সরিয়ে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি স্টেশনে না থাকায় বিষয়টি জানা নেই,তবে ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।