
অরন্যা ইসলাম অথৈ আরো বলেন,একটা সময় ছিল যখন সামাজিক কাজ করার জন্য ডাকলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সে দৃশ্য বদলেছে। এখন সারা দেশে স্বপ্রণোদিত হয়ে লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সবাই একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ।
একজন সামাজিক সংগঠক হিসেবে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় অতীতে দেখেছি সামাজিক কাজে বিভিন্ন মহলের অনীহা। তবে বর্তমান সময়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে সবার উপস্থিতি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি বিষয়েই সোচ্চার। আশা করি, আমাদের এ ইতিবাচক পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হবে। দেশের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমরা দেশ গঠনে যথার্থ ভূমিকা রাখবো। স্বেচ্ছাসেবকরা মিলেমিশে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।
মানসিক তৃপ্তি ও শান্তি স্বেচ্ছাসেবকের প্রাপ্তি
আলোর পথের পথিক ফাউন্ডেশন এর শেরপুর সরকারি কলেজ শাখার “সভাপতি”অরন্যা ইসলাম অথৈ
স্বেচ্ছাসেবা মূলত সেচ্ছায় অন্যের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। স্বেচ্ছাসেবক অন্যের কল্যাণে ও অসহায়দের পাশে থেকে মহৎ গুণ ও বড় হৃদয়বানের পরিচয় দেয়। একজন স্বেচ্ছাসেবক কোনো আশা, প্রত্যাশা না করেই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করে যায়। স্বেচ্ছাসেবীরা কোনো লাভ ক্ষতির হিসেব বা লোভ লালসা করে না। সর্বদা দেশে ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয়।
স্বেচ্ছাসেবীরা সংঘবদ্ধ হয়ে সংগঠন তৈরি করে কাজ করে যাতে সবার মেধা, দক্ষতা, গুণ, পরিশ্রম একত্রে প্রয়োগ করে আরও সুন্দর করে দেশ গড়তে পারে। সবার লক্ষ্য একটাই মানুষের সাহায্য করা এবং সব কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা। হোক সেটা রক্ত জোগাড়, রক্ত দান, বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, চিকিৎসা ও অনুদান সংরক্ষণ কিংবা খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। সব সেবার কাজেই স্বেচ্ছাসেবীর অবদান অমূল্য। স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের মানসিক তৃপ্তি ও শান্তির জন্য অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। ফলে তারা আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। সমাজসেবার ফলে তাদের কথা বলার জড়তা দূর হয়, মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে, নেতৃত্বের বিকাশ, দক্ষ ও পরিশ্রমী হয়ে উঠে। দেশের ও সমাজের প্রতি ধ্যানধারণা বৃদ্ধি পায়। সচেতন, মনবল, মানবকল্যাণী, আত্মবিশ্বাসী, নিরহংকারী করে তোলে। তাই সবার উচিত সচেতন হওয়া এবং মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করা। মানুষের কল্যাণ হলেই দেশ করবে উন্নয়ন।