
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং তার প্রতিবাদ করায় ইভটিজারদের হামলায় আহত হয়েছে গৃহবধূ কেয়া বেগম (৩৮)। এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আহত কেয়া বেগমকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কালশিরা গ্রামের সম্মেলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে স্কুল ছুটির পরে উত্তপ্ত করার প্রতিবাদে কালশিরা গ্রামের মোঃ মারুফ মল্লিক এর স্ত্রী কেয়া বেগমকে কুপিয়ে জখম করে ঘর থেকে লুটপাট করে পালিয়ে যায় মাহাবুব শেখের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক।
অভিযোগ সুত্রে, গত বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার পুরাতন কালশিরা গ্রামে গৃহবধুর উপর অতকৃত হামলা চালায় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষকে না পেয়ে কেয়া বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মাহাবুব শেখ (৪০) সাইদুল ইসলাম (৪২) সহ ১০ থেকে ১৫ জন। পরবর্তীতে এ ঘটনা ঘটিয়ে তারা লুটপাট করে পালিয়ে যায় বলে জানান।
বিথী আক্তারের মা জানান, জিসান নামের একটি ছেলে নিয়মিত আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার সময় এবং বাড়িতে ফেরার সময় নি উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আমার মেয়ে প্রধান শিক্ষককে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমার মেয়ে শিক্ষা জীবন এখন হুমকির মুখে। এর প্রতিবাদ করায় কেয়াকে কুপিয়ে জখম করে। আমিও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
কেয়া বেগম জানান,আমার স্বামী ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাহাবুর শেখ এর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে আসে, তখন আমার স্বামী বাড়ি না থাকায় আমার উপরে হামলা চালায়। আমার বাড়ি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং আমার গলা থেকে সোনার চেইন খুলে নিয়ে যায়।
মোঃ মারুফ মল্লিক জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না এসে জানতে পারি আমার স্ত্রীকে কুপিয়েছে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাহাবুর শেখ বলেন, একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আমি গিয়ে সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছি কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন,স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উপর ভাড় দেওয়া হয়েছে, তারা বলেছেন দুই পক্ষকে মিটিয়ে দেবে,এজন্য মামলা রেকর্ড করা হয়নি, যদি বাদীপক্ষ চায় মামলা রেকর্ড করা হবে।##
মো:মিজানুর রহমান সাগর
বাগেরহাট প্রতিনিধি তাং-০৯০২-২০২৫