
মোঃ মাফিজুল ইসলাম (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে পড়ার টেবিলে বই খাতা রেখে বাড়ীর কাউকে না জানিয়ে বের হয়ে যায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্র ছোয়াদ বাবু (১১)। এরপর থেকে ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আর ঘরে ফিরেনি সে। বুকের মানিক, কলিজার ধন একমাত্র ছেলে সন্তানের খোঁজ না মেলায় শোকের মাতম চলছে পরিবারটিতে। ছেলের সন্ধান পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরী ও এলাকায় মাইকিং করেও কোন সাড়া পাচ্ছেনা তার মা-বাবা।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পানিয়াল গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে ছোয়াদ বাবু। সে ছাতিনালী মর্ণিংসান একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই ছেলে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ায় তাকে নিয়ে মা বাবা দুজনেই আশায় বুক বাঁধেন। ছেলে বড় হয়ে লেখাপড়া শেষ করে মা বাবার মুখ উজ্জল করবে। তবে সে আশা যেন, এখন নিরাশা হয়ে বাসা বেঁধেছে শাহাজান-জুই চামেলী দম্পত্তির ঘরে। গেল (৪ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছোয়াদ বাবু। এরপর বাড়ীর কাউকে না বলেই বাড়ী থেকে চলে যায় সে। পরিবারের লোকজন ভেবেছিল হয়ত বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বাহিরে কোথাও গেছে। এবার বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসলেও ঘরে ফিরেনি ছোয়াদ বাবু। তখন পরিবারের সদস্যরা ছোয়াদের সহপাঠী সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী ও এলাকায় মাইকিং করে ছেলের সন্ধান চান তার বাবা।
এদিকে বুকের ধন ছোয়াদ বাবু ফিরে না আসায় তার মা জুই চামেলী এখন অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ছেলের ছবি কিংবা জামাকাপড় সবকিছু আঁকড়ে ধরেই কান্নাকাটি চলছে দিনে রাতে। আবার কখনো বা ছেলের পড়ার টেবিলে বসে ছেলের বই খাতা দেখছেন, আবার কখনো বা দেওয়ালে টানানো ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে অঝরে কাঁদছেন মা জুই চামেলী। ছেলে ফিরে আসবে এই আশায় ছেলে ছবি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান সবখানে।
এঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হওয়ার পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ছোয়াদ বাবুকে খোঁজাখুঁজি করছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন পাঁচবিবি থানা পুলিশ। সব অমঙ্গল কেটে সুষ্ঠ সবলে শরীরে আবারও ঘরে ফিরবে ছোয়াদ বাবু এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।