বাগেরহাটে ছোট বোন হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ Time View

মো:মিজানুর রহমান সাগর

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে ছোট বোন মাহাবুবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারী ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছোট বোন মাহাবুবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেঝো বোন আয়েশা আক্তার লিমা। এ সময় তার মা রাবেয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন। আয়েশা আক্তার লিমা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা আক্তার লিমা জানান, গত ৫ বছর আগে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আলামিনের সাথে নিহত মাহাবুবার বিয়ে হয়। আলামিন মাদকাসক্ত হওয়ায় বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই আলামিন বিভিন্ন কারনে মাহাবুবাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ বিষয়ে ২০২০ সালে নিহত মাহাবুবার মা মোড়েলগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়রী করে। একপর্যায়ে থানায় আলামিনকে ডাকলে সে আরিফার আর কোন ক্ষতি করবেনা বলে বন্ডে সাক্ষর করে নেয়। গত ৫ই আগস্টের পর আলামিন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আরিফার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে আরিফা সিন্ধান্ত নেয় সে আর সংসার করবে না এবং সে নিজেই হানিফ কাজীর মাধ্যমে আলামিনকে ডিফোর্স দিয়ে প্রবাসী এক ছেলেকে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিষয়টি আয়েশা আক্তার লিমা ও তার পরিবার জানতে পেরে প্রবাসে থাকা ছেলের খোজ খবর নিলে জানতে পারে সে চারিত্রিকভাবে ভালো নয়। মাহাবুবার আড়াই বছরের সন্তানের কথা চিন্তা করে পরিবারের সবাই তাকে পূনরায় আলামিনের সংসারে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরবর্তী মাহাবুবা নিজেই আলামিনের সংসারে চলে যায়। কিন্তু গত ৪ঠা ফেব্রয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাহাবুবার পিতাকে আলামিন ফোন দিয়ে জানায় সে গলায় দড়ি দিয়েছে। তাকে দ্রæত বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয় অবস্থা অশংখাজনক হওয়ায় তাকে গাজী মেডিকেলে নেওয়া হয়। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে অবস্থায় তার প্রচুর বøাডিং হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ৬দিন পর মাহাবুবা মারা যায়।
এ বিষয়ে আয়েশা আক্তার লিমা আরো বলেন, আমার বোন মারা যায়নি তাতে হত্যা করা হয়েছে। তারা বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখন প্রশাসনসহ নিজেরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
নিহত মাহাবুবার মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যায়নি। সে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেলে দুই লিটারের উপরে বøাড বের হতো না। আমি আমার মেয়ে হত্যার সাথে যারা যারা জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে নিহত মাহাবুবার স্বামী আরিফুল ইসলাম আলামিনের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাট
১৭.০২.২০২৫

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে বিএনপি নেতার  নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটে ছোট বোন হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৩:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো:মিজানুর রহমান সাগর

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে ছোট বোন মাহাবুবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারী ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছোট বোন মাহাবুবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেঝো বোন আয়েশা আক্তার লিমা। এ সময় তার মা রাবেয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন। আয়েশা আক্তার লিমা মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা আক্তার লিমা জানান, গত ৫ বছর আগে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আলামিনের সাথে নিহত মাহাবুবার বিয়ে হয়। আলামিন মাদকাসক্ত হওয়ায় বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই আলামিন বিভিন্ন কারনে মাহাবুবাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ বিষয়ে ২০২০ সালে নিহত মাহাবুবার মা মোড়েলগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়রী করে। একপর্যায়ে থানায় আলামিনকে ডাকলে সে আরিফার আর কোন ক্ষতি করবেনা বলে বন্ডে সাক্ষর করে নেয়। গত ৫ই আগস্টের পর আলামিন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আরিফার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে আরিফা সিন্ধান্ত নেয় সে আর সংসার করবে না এবং সে নিজেই হানিফ কাজীর মাধ্যমে আলামিনকে ডিফোর্স দিয়ে প্রবাসী এক ছেলেকে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিষয়টি আয়েশা আক্তার লিমা ও তার পরিবার জানতে পেরে প্রবাসে থাকা ছেলের খোজ খবর নিলে জানতে পারে সে চারিত্রিকভাবে ভালো নয়। মাহাবুবার আড়াই বছরের সন্তানের কথা চিন্তা করে পরিবারের সবাই তাকে পূনরায় আলামিনের সংসারে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরবর্তী মাহাবুবা নিজেই আলামিনের সংসারে চলে যায়। কিন্তু গত ৪ঠা ফেব্রয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাহাবুবার পিতাকে আলামিন ফোন দিয়ে জানায় সে গলায় দড়ি দিয়েছে। তাকে দ্রæত বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয় অবস্থা অশংখাজনক হওয়ায় তাকে গাজী মেডিকেলে নেওয়া হয়। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে অবস্থায় তার প্রচুর বøাডিং হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ৬দিন পর মাহাবুবা মারা যায়।
এ বিষয়ে আয়েশা আক্তার লিমা আরো বলেন, আমার বোন মারা যায়নি তাতে হত্যা করা হয়েছে। তারা বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখন প্রশাসনসহ নিজেরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
নিহত মাহাবুবার মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যায়নি। সে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেলে দুই লিটারের উপরে বøাড বের হতো না। আমি আমার মেয়ে হত্যার সাথে যারা যারা জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে নিহত মাহাবুবার স্বামী আরিফুল ইসলাম আলামিনের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাট
১৭.০২.২০২৫